আপনি জানেন কি?
সরকার বিনা মূল্যে দেশের দরিদ্র জনগনকে আইনগত সহায়তা দিচ্ছে ।
☞দেশের সুবিধা বঞ্চিত অসচ্ছল দরিদ্র জনগনকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য
সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ নামক একটি আইন প্রণয়ন করেছেন।
☞এ লক্ষ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একটি আইনগত সহায়তা
কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটির চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা দায়রা জজ
এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পরিষদের চেয়ারম্যান গন।
☞দরিদ্র জনগনের মধ্যে বাদি-বিবাদি উভয় এ কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে আইনগত
সহায়তা পেতে পারেন।
সরকারী আইনগত সহায়তা কারা পাবে ?
জাতীয় আইনগত প্রদান নীতিমালা ২০০১ অনুযায়ী অন্যান্যের মধ্যে নিম্ন বর্নিত ব্যাক্তিগন আইনগত সহায়তা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
☞যে কোন অসচ্ছল ব্যাক্তি, যার বার্ষিক গড় আয় ১,০০,০০০(একলক্ষ) টাকার
উর্দ্ধেনয়;(সংশোধিত নীতিমালা ২০১৪)
☞কর্মক্ষম নন বা আংশিক কর্মক্ষম, কর্মহীন বা বার্ষিক ১,৫০,০০০/= (একলক্ষ
পঞ্চাশ হাজার) টাকার উর্দ্ধে আয় করতে অক্ষম এমন মুক্তিযোদ্ধা । (সংশোধিত
নীতিমালা ২০১৪)
☞বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমন কোন ব্যাক্তি;
☞ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থমাতা;
☞পাচারের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ নারী বা শিশু;
☞দূর্বৃত্ত দ্বারা এসিডদগ্ধ নারী বা শিশু; ভাতা পাচ্ছেন এমন কোন ব্যাক্তি;
☞আদর্শ গ্রাম বা গুচ্ছগ্রামে গৃহ বা ভূমি বরাদ্দপ্রাপ্ত কোন ব্যাক্তি;
☞বয়স্ক অসচ্ছল বিধবা বা স্বামী পরিত্যাক্তা এবং দুস্থ মহিলা;
☞উপার্জনে অক্ষম ও সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধী;
☞আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার দরুন আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা বা আত্নপক্ষ সমর্থন করতে
অসমর্থ ব্যাক্তি;
☞বিনা বিচারে আটক ব্যাক্তি, যিনি আত্নপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম;
☞আদালত কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলে বিবেচিত ব্যাক্তি;
☞জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলে সুপারিশকৃত বা বিবেচিত
কোন ব্যাক্তি;
আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংস্থা কর্তৃক সময় সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল সহায়-সম্বলহীন নানাবিধ আর্থ-সামাজিক এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি যিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে স্বীয় অধিকার প্রতিষ্ঠার মামলা পরিচালনায় অসমর্থ।
ব্যাখ্যা: জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা ২০০১ এর উদ্দেশ্য পূরনকল্পে অসচ্ছল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যাক্তি বলতে এমন ব্যাক্তিকে বুঝাবে যার বার্ষিক গড় আয় ১০০,০০০(একলক্ষ) টাকার বেশি নয়। (সংশোধিত নীতিমালা ২০১৪)
সূপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাক্তি যার বার্ষিক গড় আয় ১৫০,০০০ (একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার উর্দ্ধে নয় এবং শ্রমিক (শ্রম আদালতের ক্ষেত্রে) বার্ষিক গড় আয় ১০০,০০০(একলক্ষ) টাকার উর্দ্ধেনয় সেও আর্থিকভাবে অসচ্ছল বলে বিবেচিত হবে। (সংশোধিত নীতিমালা ২০১৪)
আইনগত সহায়তার আবেদন ফরম কোথায় পাবেন ?
☞জেলা জজ কোর্টে অবস্থিত লিগ্যাল এইড অফিসে;
☞কারাগারের কর্মকর্তার নিকট;
☞জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে;
☞জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে;
☞উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
কখন এবং কোন মামলায় সহায়তা পাবেন ?
☞দেওয়ানি, ফৌজদারী, পারিবারিক, জেল আপিলসহ যে কোন মামলা দায়েরের পূর্বে
কিংবা চলমান মামলায় মামলার বাদি-বিবাদি, ফরিয়াদি বা আসামি যে কেউ আইনগত
সহায়তা পেতে পারেন।
☞বিচারাধীন মামলায় আইন সহায়তার জন্য প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আদালতকেও অবগত
করতে পারবেন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রদত্ব সেবা সমূহ :
☞আইনি পরামর্শ প্রদান;
☞আইনি তথ্য প্রদান;
☞মামলার দায়ের এবং প্রতিনীধিত্ব, সরকারী লিগ্যাল এইড তহবিল থেকে ব্যায় বহন করা
হয়;
☞সরকারী খরচে মামলা পরিচালনা এবং মামলা দায়েরর জন্য আইনজীবির ফি ও মামলা
সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যায় বহন করা হয়;
লিগ্যাল এইড প্রার্থীদের জন্য সুবিধাদি :
☞আইনগত সহায়তা প্রার্থীদের জন্য পৃথক সাক্ষাৎকার গ্রহনের ব্যবস্থা;
☞আইনগত সহায়তা প্রার্থীদের জন্য অপেক্ষমান কক্ষ;
☞দুগ্ধপ্রদানকারী মায়ের জন্য পৃথক ব্যবস্থা;
☞সুপেয় পানির ব্যবস্থা;
লিগ্যাল এইড প্রার্থীর প্রধান করণীয় :
☞জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ব্যতীত অন্য কারো নিকট থেকে আইনি পরামর্শ গ্রহন
করবেন না;
☞জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এর পরামর্শ ব্যতিরেকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন
ব্যাক্তিকে অর্থপ্রদান করবেন না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস